পাকিস্তানে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

পাকিস্তানে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

‘রাসায়নিক প্রয়োগে ধর্ষকদের পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়ার মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ শুরু হোক। তারপর ধাপেধাপে এগোনো যাবে’ এমন একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

ধর্ষণের ঘটনা কমাতে এবার কঠোর হচ্ছে পাকিস্তানের আইন। রাসায়নিক প্রয়োগে ধর্ষকদের পুরুষাঙ্গ (কেমিক্যাল কাস্ট্রেশন) অকেজো করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছে বলে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও টিভি।

বলা হয়েছে, ধর্ষণের মামলাগুলিকে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে অপরাধীদের শাস্তি পেতে অযথা দেরি না হয়। তবে এব্যাপারে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ঘোষণা এখনও দেওয়া হয়নি।

পরে পাকিস্তানের শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফের সিনেটর ফয়জল জাভেদ খান এক টুইট বার্তায় জানান, ধর্ষণ দমনে নতুন আইনের খসড়া অনুমোদনের জন্য শীঘ্রই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে পেশ করা হবে।

এই সপ্তাহে ইসলামাবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয় দেশটির আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। ধর্ষণ দমনে একটি অর্ডিন্যান্স জারির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে জানিয়ে তার একটি খসড়াও পেশ করা হয় বৈঠকে।

ওই খসড়ায় পাকিস্তানে নারীদের নিরাপত্তায় জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম হলো, দেশটির পুলিশে আরও বেশি সংখ্যায় নারী নিয়োগ, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ধর্ষণ মামলাগুলির বিচার এবং ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

জিও টেলিভিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৈঠকে বলেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এব্যাপারে যেন কোনও বিলম্ব না হয়। নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

ইমরান খান জানিয়েছেন, নতুন আইনে কোনও অস্বচ্ছতা থাকবে না। আইন কঠোর হবে। বিচার প্রক্রিয়াও হবে দ্রুততর। ধর্ষিতারা যাতে নির্ভয়ে ঘটনার অভিযোগ জানাতে পারেন পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে সেদিকেও নজর রাখা হবে। পাশাপাশি, ধর্ষিতাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, বৈঠকে দেশটির কোনও কোনও মন্ত্রী ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ারও দাবি জানান।

সেই প্রেক্ষিতে দেশটির ইমরান খান বলেন, ‘‘রাসায়নিক প্রয়োগে ধর্ষকদের পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়ার মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ শুরু হোক। তারপর ধাপেধাপে এগোনো যাবে।”

আপনি আরও পড়তে পারেন